জেনে রাখুন যাকাত যাদের ওপর ফরজ

জেনে রাখুন  যাকাত   যাদের ওপর ফরজ

জেনে রাখুন  যাকাত   যাদের ওপর ফরজ
জেনে রাখুন  যাকাত   যাদের ওপর ফরজ


যাকাত   ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি ইসলামি সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অনন্য অনন্য প্রতিষ্ঠান। যাকাত  একদিকে দরিদ্র, অভাবী ও অক্ষম জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি। আবার অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।


যাকাত   কাদের ওপর ফরজ

যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে— এমন স্বাধীন ও পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারী যাকাত   আদায় করবে। কারণ, তাদের ওপর যাকাত   ফরজ। তবে এর জন্য শর্ত হলো—


  • এক. সম্পদের ওপর পূর্ণাঙ্গ মালিকানা থাকতে হবে।
  • দুই. সম্পদ উৎপাদনক্ষম ও বর্ধনশীল হতে হবে।
  • তিন. নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে।
  • চার. সারা বছরের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেই শুধু যাকাত   ফরজ হবে।
  • পাঁচ. যাকাত   ফরজ হওয়ার জন্য ঋণমুক্ত হওয়ার পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা শর্ত।
  • ছয়. কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর থাকলেই শুধু ওই সম্পদের ওপর জাকাত দিতে হবে।

 You may also like...

কতটুকুতে যাকাতের  নিসাব থাকতে হবে 

ক. সোনা ৭.৫ তোলা=৯৫.৭৪৮ গ্রাম প্রায়। খ. রুপা ৫২.৫ তোলা=৬৭০.২৪ গ্রাম প্রায়। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৩৯৪; আল-ফিকহুল ইসলামি : ২/৬৬৯)

You may also like...

দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও ব্যবসায়িক পণ্যের নিসাব নির্ধারণে সোনা-রুপা হলো পরিমাপক। এ ক্ষেত্রে ফকির-মিসকিনদের জন্য যেটি বেশি লাভজনক হবে, সেটিকে পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করাই শরিয়তের নির্দেশ। তাই মুদ্রা ও পণ্যের বেলায় বর্তমানে রুপার নিসাবই পরিমাপক হিসেবে গণ্য হবে। তাই যার কাছে ৫২.৫ তোলা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা বা ব্যবসায়িক পণ্য মজুদ থাকবে, তার ওপর যাকাত  ওয়াজিব হবে।

যে সম্পদের ওপর যাকাত   ফরজ, তার ৪০ ভাগের এক ভাগ (২.৫০ শতাংশ) যাকাত   দেওয়া ফরজ। সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড়চোপড় বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলেও জাকাত আদায় হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৭২; সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬২৩)

Next Post Previous Post