স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় |দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি?Islamic Life

স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় |দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি?

স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
 স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়


রোজা রেখে দিনের বেলা ঘুমানো নিষিদ্ধ নয়। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও, স্বপ্নের কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে গোসল করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কিছু লোক মনে করে যে, রোজা রাখার সময় যদি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে; তোমার ধারণা সঠিক নয়।

রোজা রাখার সময় যদি কারো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে কি তার রোজা ভেঙে যাবে? যদি কোন রোজাদারের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে কী করা উচিত?


একবার সেমিনাল ভেসিকেলের ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেলে, ঘুমের সময় সেমিনাল নালীতে অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাতের মাধ্যমে শরীরে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, যাকে ঘুমের ব্যাঘাত বলা হয়। ঘুমের ব্যাঘাতের সময়, অনেক মানুষ অজ্ঞান হয়ে তাদের স্বপ্নে যৌন কার্যকলাপের ছবি দেখতে পান, কিন্তু সেই অনুভূতির পাশাপাশি, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু উপবাসের সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে কী করা উচিত?


আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তিনটি জিনিস রোজা ভঙ্গের কারণ নয়— বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৪/২৬৪; আদ্দুররুল মুখতার : ২/৩৯৬; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস : ৫২৮৭; নাসবুর রায়াহ : ২/৪৪৭; মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ৩/১৭০; জামে তিরমিজি, হাদিস : ৭১৯)

You may also like...

উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আবু তালহা (রা.)-এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর নিকট এসে আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহ তাআলা সত্যের বিষয়ে নিঃসঙ্কোচ। (তো আমার জিজ্ঞাসা এই যে,) কোনো নারীর স্বপ্নদোষ হলে কি তার উপর গোসল ফরজ হয়?’

You may also like...

উত্তরে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ। যদি সে পানি (ভেজা) দেখতে পায়।’ (সহিহ বুখারি : ১/৪২)


এ হাদিস থেকে বোঝা যায়- ১. ছেলেদের মত মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়। ২. স্বপ্নদোষ হলে ছেলে-মেয়ে উভয়ের গোসল করা ফরজ হয়।


অতএব, উপরোক্ত হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায় যে, স্বপ্নদোষ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না। সুতরাং রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙে যায়— এ ধারণা ঠিক নয়। (ফতওয়ায়ে শামি, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৩৬৬)


আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিকভাবে রমজান পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Next Post Previous Post