কম দামে বিমানের টিকেট কেনার কিছু কৌশল | Get Online Plane Ticket

 কম দামে বিমানের টিকেট কেনার কিছু কৌশল | Get Online Plane Ticket in Bangladesh

কম দামে বিমানের টিকেট কেনার কিছু কৌশল




উচ্চশিক্ষা, চাকরি, এবং ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানের টিকেট কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ সময় দ্রুত যাতায়াতের জন্য আকাশপথই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হয়ে থাকে। তবে বিমান ভাড়ার উচ্চ মূল্যের কারণে বাজেট-বান্ধব ভ্রমণকারীরা অনেক সময় অসুবিধার সম্মুখীন হন। তাই ব্যয়বহুল এই যাত্রাপথের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কিছু পূর্ব-পরিকল্পনা এবং কৌশল প্রয়োগ করা প্রয়োজন।


সাশ্রয়ী বিকল্প খোঁজা আর্থিক চাপ অনেকটাই কমাতে পারে। আসুন, অপেক্ষাকৃত কম দামে বিমানের টিকেট বুকিংয়ের ১০টি কার্যকর কৌশল সম্পর্কে জানি।


স্বল্পমূল্যে বিমানের টিকেট কেনার ১০টি কৌশল


অগ্রিম টিকেট বুকিং করা: 

বিমান ভাড়ায় সাশ্রয়ী হওয়ার একটি সাধারণ উপায় হলো আগেই টিকেট বুকিং করা। এয়ারলাইন্সগুলো সাধারণত প্রস্থানের ১১ মাস আগে টিকেট প্রকাশ করে, এবং যত আগে টিকেট কাটা যায়, তত কম খরচ হয়। অন্তত ১ থেকে ৩ মাস আগেই টিকেট বুকিং দিলে পছন্দের সিট পাওয়া এবং ছাড় পাওয়া সম্ভব।

কম দামে বিমান টিকেট ২০২৪

২০২৪ সালে কম দামে বিমান টিকেট পাওয়া বেশ সহজ হয়েছে অনলাইন বুকিং সেবার মাধ্যমে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স যেমন বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়মিত ছাড় দিয়ে থাকে। সঠিক সময়ে বুকিং করলে অনেক ক্ষেত্রেই আপনি বাজেটের মধ্যে টিকেট পেতে পারেন। বিশেষ করে ছুটির সময় বা অফ-পিক মৌসুমে টিকেটের দাম কম থাকে। তাই আগেভাগে বুকিং করার পরামর্শ দেয়া হয়।


বাংলাদেশ বিমান টিকেট মূল্য

বাংলাদেশ বিমানের টিকেটের মূল্য বিভিন্ন গন্তব্য এবং সময় অনুসারে পরিবর্তিত হয়। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট যেমন ঢাকা থেকে কক্সবাজার বা সিলেটের টিকেটের দাম সাধারণত ৪০০০ থেকে ৮০০০ টাকার মধ্যে থাকে। আন্তর্জাতিক গন্তব্যের জন্য, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে, দাম ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ফ্লাইট টিকিটের মূল্য

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ফ্লাইট টিকিটের মূল্য এয়ারলাইন, বুকিং সময় এবং মরসুমের উপর নির্ভর করে। গড়ে, টিকিটের দাম একমুখী ভ্রমণের জন্য 4,000 টাকা থেকে 10,000 টাকা পর্যন্ত। পিক ট্যুরিস্ট ঋতুতে, যেমন ছুটির দিন বা উৎসবে, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম বেশি হতে পারে। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ারের মতো এয়ারলাইন্স এই রুটে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। সর্বোত্তম ডিল পেতে, তাড়াতাড়ি টিকিট বুক করা এবং এয়ারলাইন্সের দেওয়া বিশেষ ছাড় বা প্রচারের সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ অনলাইন ভ্রমণ প্ল্যাটফর্মগুলি প্রায়শই ভাল হারের জন্য সহজ মূল্য তুলনা প্রদান করে।

বিমানের টিকেট কাটার এপস

বিমান টিকেট কাটার জন্য অনেকগুলো এপস আছে, যেমন Biman Bangladesh Airlines, ShareTrip, GoZayaan এবং Trip.com। এই এপসগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার সুবিধামতো সময় এবং বাজেট অনুযায়ী টিকেট বুকিং করতে পারবেন

ইন্টারনেট ব্রাউজারের ‘ইনকগনিটো’ মুড ব্যবহার করা:  

অনেক ট্রাভেল ওয়েবসাইট আপনার টিকেট অনুসন্ধানের ইতিহাস ট্র্যাক করে, যা ভবিষ্যতে বিমানের ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। ইনকগনিটো মুড ব্যবহার করলে এই ট্র্যাকিং এড়ানো যায় এবং বিভিন্ন সাইটের দাম তুলনামূলকভাবে যাচাই করা যায়।


ভ্রমণের বিকল্প তারিখ বিবেচনা করা:

ফ্লাইটের ভাড়া দিনভেদে ভিন্ন হতে পারে। শুক্রবার বা শনিবারের ফ্লাইটের চেয়ে সোমবার বা বুধবারের ফ্লাইট তুলনামূলকভাবে সস্তা হতে পারে। তাই টিকেট কেনার সময় দিনগুলো বিবেচনা করা উচিত।


একাধিক টিকেট বুকিং সাইট যাচাই করা:  

একাধিক প্ল্যাটফর্মে টিকেট অনুসন্ধান করলে সেরা দামে টিকেট পাওয়া যায়। যেমন, গুগল ফ্লাইটস, স্কাইস্ক্যানার এবং কায়াকের মতো সাইটগুলোতে দাম যাচাই করা যায়।


কম মূল্যের টিকেটের অ্যালার্ট চালু রাখা:  

অনেক ট্রাভেল সাইট টিকেটের দাম ট্র্যাক করে এবং কমে গেলে আপনাকে জানায়। এই পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে টিকেট কেনা সহজতর হয়।


এয়ারলাইন্স মাইলস বা পয়েন্ট ব্যবহার করা:

অনেক এয়ারলাইন্স যাত্রীদের মাইলস বা পয়েন্ট জমা করার সুবিধা দেয়, যা পরবর্তী যাত্রায় ছাড়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।


বাজেট-বান্ধব এয়ারলাইন্স খোঁজা:  

বড় এয়ারলাইন্সের তুলনায় ছোট বা স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইটে খরচ কম হতে পারে, তবে অতিরিক্ত চার্জ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।


বিকল্প বিমানবন্দর খোঁজা:

প্রধান বিমানবন্দরের পরিবর্তে ছোট বা কম পরিচিত বিমানবন্দর ব্যবহার করলে টিকেটের খরচ কম হতে পারে।


রাউন্ড ট্রিপ টিকেট কেনা: 

রাউন্ড ট্রিপ টিকেট সাধারণত দুটি ওয়ান ওয়ে টিকেটের চেয়ে সস্তা হয়, যা অর্থ সাশ্রয়ের একটি ভালো কৌশল।


অফ-পিক সময়ে ভ্রমণ করা:  

ছুটির সময়ে ভাড়া বেশি থাকে, কিন্তু অফ-পিক সময়ে ভাড়া অনেক কমে আসে। জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চের শুরু এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভাড়া কম থাকে।

অনলাইন ফ্লাইট টিকেট বুকিং

অনলাইনে ফ্লাইট টিকিট বুক করা একটি সুবিধাজনক এবং কার্যকর প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে, আপনি সহজেই দাম তুলনা করতে পারেন, ফ্লাইটের সময়সূচী নির্বাচন করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের এয়ারলাইনগুলি বেছে নিতে পারেন৷ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, শেয়ারট্রিপ, গোজায়ান এবং ট্রিপ ডটকমের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ফ্লাইটের জন্য অনলাইন বুকিং পরিষেবা সরবরাহ করে। উপলব্ধ ফ্লাইটগুলি খুঁজে পেতে কেবল আপনার ভ্রমণের বিবরণ লিখুন, যেমন প্রস্থান এবং গন্তব্য শহর, ভ্রমণের তারিখ এবং যাত্রী সংখ্যা।


অনলাইন টিকিট বুকিং আপনাকে বিশেষ ডিল এবং ডিসকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে দেয়। ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাঙ্কিং এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সহ একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা যেতে পারে। উপরন্তু, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি প্রায়ই 24/7 গ্রাহক সহায়তা প্রদান করে, বুকিং প্রক্রিয়াটিকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে।

 শেষ কথা


এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে বিদেশে ভ্রমণের খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। অগ্রিম পরিকল্পনা এবং তুলনামূলক গবেষণার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিমানের টিকেট পাওয়া যাবে।

Next Post Previous Post